INLEPT

INLEPT
(Institute of Learning and Promoting Tolerance)

বহুত্ববাদীতা আদর্শ সমাজ গঠনে সহায়ক


লেখক
ফারুক মিয়া
শিক্ষার্থী, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 


একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজে সকল ধর্ম, আদর্শ ও বর্ণের মানুষ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সমাজের সকল কাজের ক্ষেত্রেই ভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি সমাজে নানা ধরণের লোকজন বসবাস করে যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকেন। তাদের প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ।     

আমরা সমাজকে তখনই আধুনিক, মানবিক বা আদর্শবাদী সমাজ বলতে পারবো যখন প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ ধর্ম, মতাদর্শ ও পেশার মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত থাকবে। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন আদর্শকে রাজনীতিতে ভুল ভাবে এবং একপেশে করে  ব্যবহার করি ফলে সমাজে দিন দিন অসহিষ্ণুতা বেড়ে যাচ্ছে। অথচ যদি আমরা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে কোন মতবাদকে খারাপ উদ্দেশ্যে বা নিজ সার্থে ব্যবহার না করি তাহলে সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাবে।  

পৃথিবীকে যারা আজ জ্ঞান- বিজ্ঞানে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যারা পৃথিবীকে বসবাসযোগী করে তুলেছেন, পৃথিবীর সেরা আবিষ্কার গুলো যারা করেছেন তারা কিন্তু কোন ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শে নিজেদের খন্ডিত করেননি।  

আমরা যদি মাদার তেরেসার কথা চিন্তা করি তাহলে দেখি তিনি একজন অসাধারণ মানবসেবী। তাঁর জন্মস্থান আলবেনিয়া হলেও তিনি ভারত ও বাংলার মানুষের দুঃখ দূর্দশায় বিচলিত হয়েছেন। তিনি দেশ,ধর্ম,জাতির পার্থক্য না করে সেবা কর্মে মানুষকেই বড় করে দেখেছেন। 

মানুষ আজ জাতিভেদ, গোত্রভেদ, বর্ণভেদ, বংশভেদ ইত্যাদি কৃত্রিম পরিচয়ে নিজেদের পরিচয়কে সংকীর্ণ ও গন্ডিতে আবদ্ধ করেছে। তাই এইসব বৈষম্য দূর করে একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সমাজের সকল মানুষকে এই বিশ্বাস লালন করতে হবে যে আমরা ভিন্নতাকে গ্রহণ করব। 


1 comment:

  1. A lot of thanks Faruk. Absolutely you are a great person. Always I love you so much for your carector.

    ReplyDelete

Theme images by richcano. Powered by Blogger.