বরং পশু হোন ।। Rather be an Animal
Photo: dailymailnews.com (Google Search)
লেখিকাঃ তানিয়া আক্তার
শিক্ষার্থী, পপুলেশন সায়েন্স
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
আচ্ছা, কখনো কি একটা কুকুরকে বাচ্চা কুকুরকে যৌন নিপীড়ন করতে দেখেছেন?
কখনো কি ষাড়কে বাছুরের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে দেখেছেন?
কখনো একটা হাঁসকে হাঁসের ছানার সাথে, বিড়ালকে বিড়াল ছানার সাথে? দেখেছেন কি কেউ কখনো?
না কেউ দেখে নি, কারন এরা বুঝে ছোটদের স্নেহ করতে হয়, নিপীড়ন করতে হয় না। এরা বুঝে বাচ্চাদের ভালবাসতে হয়, কষ্ট দিতে হয় না। এরা বুঝে বাচ্চাদের মায়া দিয়ে আগলে রাখতে হয়, যৌন অত্যাচার করে হত্যা করতে হয় না।
অথচ আমরা মানুষ বুঝি না বাচ্চাদের স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে হয়, যৌন নিপীড়ন করতে হয় না, যৌন নিপীড়ন করে হত্যা করতে হয় না।
যখন সংবাদ শিরোনামে দেখি ৫ বছরের শিশুর ধর্ষনের ফলে মৃত্যু, ৮ বছরের বাচ্চার ধর্ষণের কারণে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালের বেডে শোয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে,,,অজানা কারণে শরীর শিউরে উঠে, মাঝে মাঝে চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে।
অনেকেই পোশাককে ধর্ষণের কারণ হিসেবে চিহ্নত করেন। আচ্ছা, বলতে পারেন ৮ বছরের একটা শিশুর যেখানে তার শারিরীক গঠনই ঠিক করে গড়ে ওঠে নি সেখানে পোশাক কি করে দায়ী হতে পারে?
না আমি স্রষ্টার সৃষ্টিকে পশুর সাথে তুলনা করে শ্রেষ্ঠত্বের অবমাননা করতে চাইছি না।
আমি বুঝাতে চাইছি স্রষ্টা প্রদত্ত বিবেকের অবমূল্যায়ন করাকে।
যেদিন বিবেকের সঠিক ব্যবহার হবে সেদিন প্রয়োজন পড়বে না কোনো আদালতের, প্রয়োজন পড়বে না কোনো মামলা মোকদ্দমার, অহেতুক কারণ দাড়ঁ করাতে হবে না পোশাকের। নানান অজুহাতে ঘুষের নিচে চাপা পড়বে না ধর্ষণের মতো বড় বড় ফাইল; ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য, ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য মানুষের বিবেকই যথেষ্ট। "দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আদালত মানুষের বিবেক।"
এই আদালতের প্রতিষ্ঠা হলে সকল অপকর্মের অব্যাহতি মিলবে, শিশুরা অবাধে চলাফেরা করতে পারবে, চোখে-মুখে থাকবে না কোনা আতঙ্কের চাপ।
আমরা মানুষেরা কি পারি না বিবেকবোধের মতো সুন্দর আদালতের প্রতিষ্ঠা করতে, মানুষের শ্রেষ্ঠত্বকে প্রমান করতে, সুষ্ঠু সমাজ গড়ে তুলতে?
No comments