INLEPT

INLEPT
(Institute of Learning and Promoting Tolerance)

"প্রতিবাদ করেনি বলে সে কাপুরুষ নয়"

ছবিঃ লেখক

লেখক
মোহাম্মদ ফারহান হোসাইন
ছাত্র, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

সহ্য ক্ষমতা মানুষের মহৎ গুণগুলোর  অন্যতম।সমাজের বিভিন্ন ব্যতিক্রম এবং প্রতিকূলতার মধ্যে ধৈর্যধারন করার ক্ষমতা আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই নেই বরং যাদের মধ্যে এই ক্ষমতাটি আছে তাদেরকে তুচ্ছজ্ঞান করা,অপমান করা এবং অপবাদ দেওয়া সমাজের সিংহভাগ মানুষের নিত্যদিনের কর্ম।যেমনঃ বাড়িতে, রাস্তাঘাটে অথবা যাতায়াতের ক্ষেত্রে গাড়িতে দুইজন মানুষের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে যদি একজন আরেকজনকে গালি অথবা আঘাত করলে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি মানবিক দিক বিবেচনা করে,মনুষ্যত্বের অধিকারী বলে এবং দ্বন্দ্বটাকে দীর্ঘায়িত না করতে চেয়ে পাল্টা আক্রমন না করে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও চুপচাপ সহ্য করে তাকে আমরা অধিকাংশ মানুষ কাপুরুষ বলতেও দ্বিধাবোধ করিনা।আমরা চাই সেও তাকে পাল্টা প্রহার করুক।এই আক্রমন করাকে তার জয় এবং আক্রমন না করাকে পরাজয় হিসেবে ধরে নিই। আবার কেউ যদি সমাজের ব্যতিক্রম শ্রেণীর পক্ষে কথা বলে অথবা তাদের সাথে চলাফেরা করে তাহলে আমাদের সমাজ তাকেও সেই ব্যতিক্রম এর অন্তর্ভুক্ত করে ফেলে।যেমনঃ যদি এক লোক হিজড়াদের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে সমাজে জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা চালায় তাহলে কয়েকদিন যেতেই সমাজের মানুষ তাকে বিভিন্নভাবে অপদস্ত করে, অপমান করে, অপবাদ দেওয়া শুরু করে।কেউ কেউ তাকেও হিজড়া হিসেবেও গন্য করে। এবং শেষ পর্যন্ত তার সেই প্রচেষ্টা ব্যহত হয়। এই হল আমাদের সমাজের মানুষদের ধ্যান-ধারনা। এই ব্যাপারটা যদি চলতে থাকে তাহলে সমাজে সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন। তাই আমাদেরকে এরকম ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সহিষ্ণুতার চর্চা করতে হবে। তাহলেই সমাজ থেকে অসহিষ্ণুতা উঠে যেতে থাকবে। আর সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে হলে অসহিষ্ণুতা দূর করতেই হবে।কেননা এটি হচ্ছে সকল সামাজিক সমস্যার জননী। 

No comments

Theme images by richcano. Powered by Blogger.